Helene's Fury: Deadly Floods Claim Over 50 Lives

 

Helene's wrath continues to devastate the Southeast, leaving at least 55 dead across five states. The historic storm, which made landfall in Florida’s Big Bend as a massive Category 4 hurricane Thursday night, has leveled communities, cut off power, and left many stranded in rising floodwaters. Here’s the latest on the unfolding disaster:"

Click...

সাকিবের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে না বিসিবি

 


সম্ভব হলে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলতে চান সাকিব আল হাসান। আগামী মাসেই দক্ষিণ আফ্রিকা আসছে বাংলাদেশ সফরে। আজ কানপুরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর ঘোষণা করে সাকিব বলেছেন, যদি তাঁকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়, তিনি শেষ টেস্টটা দেশের মাটিতে খেলতে চান।

তবে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ আজ বোর্ড সভা শেষে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। তাঁকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বোর্ড থেকে এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। নির্দিষ্ট একজনকে ব্যক্তিগতভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার সামর্থ্য নেই বিসিবির।’

 

সাকিবের নিরাপত্তার ব্যাপারটি সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আসতে হবে বলে মনে করেন ফারুক, ‘নিরাপত্তার বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আসতে হবে। বিসিবি কোনো এজেন্সি না, পুলিশ না, র‍্যাব না। সরকারের তরফ থেকে নিরাপত্তার ব্যাপারটি আসতে হবে।’

বিসিবি সভাপতি অবশ্য খুব করেই চান সাকিব তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটি দেশের মাটিতে খেলুন, ‘সাকিব যদি এখান থেকে শেষ টেস্ট খেলতে পারে, ওর মতো আমিও বিশ্বাস করি এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না।’

 


 সাকিবের অবসর ঘোষণা তাঁর নিজের সিদ্ধান্ত বলেই মনে করেন বিসিবি সভাপতি, ‘সাকিব এ মুহূর্তে তার জীবনের খুব বাজে সময় পার করছে। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করিনি। সে মনে করেছে অবসর নেওয়ার এটাই সঠিক সময়। আমি তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। আমার দিক থেকে ওর জন্য খুব বেশি কিছু বলার নেই।’

গত জানুয়ারিতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া সাকিব গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশেই ফিরতে পারেননি। এর মধ্যেই তিনি পাকিস্তানে দেশের হয়ে টেস্ট খেলেছেন, এখন ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দলের সঙ্গে আছেন। পাকিস্তানে খেলে ইংল্যান্ডে গিয়ে সারের হয়ে খেলেছেন কাউন্টি ক্রিকেটও। সরকার পতনের পর সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দেশে ফিরলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না, সে নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উৎকণ্ঠিত সাকিব। গ্রেপ্তার করা না হলেও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর পরিবার বাস করে। সব দিক দিয়েই নিশ্চয়তা চান বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার। নিরাপত্তার পাশাপাশি বাংলাদেশে এলে পরিবারের কাছে ফেরার নিশ্চয়তাও চেয়েছেন। সেটি সরকার বা বিসিবির উচ্চপর্যায় থেকে নিশ্চিত হোক, এটাই চাওয়া সাকিবের।

  

পাচার হওয়া অর্থ ফেরানো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ড. ইউনূসের আলোচনা

 
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ সময় বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনা, রোহিঙ্গা সংকট, সন্ত্রাস দমন, শ্রমবিষয়ক সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে জাতিসংঘ সদর দফতরের নির্ধারিত সভাস্থলে তাদের এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একমত হন। এ সময় ব্লিঙ্কেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সহযোগিতা, রোহিঙ্গা সংকট, সন্ত্রাস দমন, শ্রমবিষয়ক সংকট ও পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারসহ বিভিন্ন বিষয়ে ড. ইউনূসকে আশ্বস্ত করেন। বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় দৃঢ় সংকল্প ও নেতৃত্বের জন্য ড. ইউনূসকে সাধুবাদ জানান ব্লিঙ্কেটর।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় আধা ঘণ্টার বৈঠকে বাংলাদেশে কোন প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে সেই পরিস্থিতি তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্স হ্যান্ডলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সহযোগিতা আরও গভীর করার প্রসঙ্গটি আলোচনায় এসেছে।

 

 

 

আন্দোলন গোছানো ছিল: ক্লিনটনকে ড. ইউনূস

 


বাংলাদেশের তরুণেরাই নতুন বাংলাদেশ গড়বেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি ছাত্র–জনতার তীব্র আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ আন্দোলন খুব পরিকল্পিতভাবে (অগোছালো নয়) চালিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিছুই হঠাৎ হয়নি।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন ড. ইউনূস। গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রতিষ্ঠান ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ’–এর একটি আয়োজনে অংশ নেন তিনি। সেখানেই অধ্যাপক ইউনূস এ কথাগুলো বলেন। জ্যাকসন হাইটসে আয়োজন করা হয় এ অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিল ক্লিনটনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ও সম্পর্কের প্রথম দিনের গল্প, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কাহিনি এবং বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের নানা বিষয় তুলে ধরেন।

এই অনুষ্ঠানের মঞ্চে ড. ইউনূস তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলার ফাঁকে সফরসঙ্গীদের তিনজনকে পরিচয় করিয়ে দেন। প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলমকে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরে সরকার পতনের আন্দোলনের কারিগর হিসেবে উল্লেখ করেন।

কথা বলার একপর্যায়ে মাহফুজকে সামনে এগিয়ে দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পেছনের কারিগর মাহফুজ। যদিও মাহফুজ সব সময় বলে, সে একা নয়, আরও অনেকে আছে। যদিও সে গণ-অভ্যুত্থানের পেছনের কারিগর হিসেবে পরিচিত।’

 

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘এটি (ছাত্র আন্দোলন) খুব গোছানো ছিল। এমনকি লোকজন জানতেন না, কারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাই, আপনি একজনকে ধরে ফেলে বলতে পারবেন না, ঠিক আছে, আন্দোলন শেষ। তাঁরা যেভাবে কথা বলেছেন, তা সারা বিশ্বের তরুণদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’

অনুষ্ঠানের শুরুতেই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন অধ্যাপক ইউনূসকে বাংলাদেশের তরুণ নাগরিকদের ডাকে সাড়া দিয়ে দায়িত্বগ্রহণকারী নেতা বলে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় পুরো হল করতালিতে ফেটে পড়ে। দুই নেতা পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন।

 

আমার জানা মতে, ‘আপনিই (ড. ইউনূস) একমাত্র বয়স্ক ব্যক্তি, যাঁকে দেশের তরুণেরা তাঁর নিজের অসাধারণ অর্জনের জন্য ক্ষমতায় বসিয়েছে।’

এদিকে ড. ইউনূস তাঁর বক্তব্য শুরু করেন বিল ক্লিনটনের সঙ্গে তাঁর প্রথম যোগাযোগের ঘটনা উল্লেখ করে। বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি চিঠি পেয়েছিলেন (১৯৮৬ সালে), যা তাঁকে অবাক করেছিল। আরকানসের একজন গভর্নর (সে সময় ক্লিনটন এ অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ছিলেন) ওই চিঠি পাঠান। চিঠিতে তাঁর সঙ্গে দ্রুত দেখা করতে চান বলে তিনি লিখেছিলেন।

এ প্রসঙ্গে মজার ছলে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমি জানতাম না, তিনি দ্রুত বলতে ঠিক কতটা দ্রুত বোঝাতে চেয়েছিলেন। আমি তাঁকে বলেছিলাম, এরপর আমি যখন যুক্তরাষ্ট্রে আসব, আমি অবশ্যই যাব এবং আপনার সঙ্গে অবশ্যই দেখা করব।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘তিনি আমাকে বলেছিলেন, এটা (দেখা করা) খুবই জরুরি।’ উত্তরে আমি বলি, ‘আমি দেখছি, কীভাবে দ্রুত আসা যায়। আমি আসব, (তবে) আগেই আসতে পারব না। পরে আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেছি। এভাবেই আমাদের যোগাযোগের সূচনা হয়।’

দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ড. ইউনূস তাঁদের কথাও বলেন। পুরো হল আবার করতালিতে ফেটে পড়ে। তিনি তাঁদের মঞ্চে ডেকে নিয়ে আসেন।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আরকানসের গভর্নর বুঝতে চাইছিলেন, গ্রামীণ ব্যাংক আসলে কী, যেটি নিয়ে লোকজন কথা বলছে। আমি তাঁদের কাছে বিষয়টি ব্যাখ্যা করি। তিনি ও হিলারি উভয়ই সেখানে একটি হোটেল কক্ষে বসে ছিলেন। ওখানেই আমাকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সব শুনে তিনি বললেন, ‘‘আমাদের এটা দরকার। আমরা কত দ্রুত এটা আরকানসে পেতে পারি।’’ এটাই এই গল্পের শুরু।’

‘তাই, আমি তাঁর আয়োজনে আরকানস ঘুরতে যাই। আমি আরকানসের গ্রামাঞ্চল ঘুরে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখি। লোকজন বন্ধ দোকানের চারপাশে বসে আছেন। কারণ, সেখানকার অর্থনীতি পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। আমার সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, আমাকে ওই সব মানুষকে দেখিয়ে বলেন, ‘‘তাঁরা কি কিছু করতে পারবেন?’’ আমি বলি, অবশ্যই, তাঁরাই যা করার করতে পারবেন’, বলেন অধ্যাপক ইউনূস।

ড. ইউনূস বলেন, ‘ওইসব লোক কিছু করতে পারবেন, এটা তাঁরা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। ওটাই ছিল শুরু। বিল বলেছিলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমরা একটা (গ্রামীণ ব্যাংক) করতে চলেছি।’’ কীভাবে এটি কাজ করবে, আমি বুঝিয়ে বললাম। এভাবেই সেখানে গ্রামীণ প্রকল্পের যাত্রা শুরু হলো। হিলারি দায়িত্ব নিলেন। তিনি (বিল) গভর্নর ছিলেন এবং এটা করতে চাইলেন। এটাই এর শুরু। তবে আমি বুঝতে পারিনি, ঠিক কেন তাঁর জন্য বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তিনি (বিল) প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে নামেন। তখন আমি বিষয়টা বুঝতে পারি। তিনি গভর্নর ছিলেন এবং এখন প্রেসিডেন্ট হতে চান। তিনি আমাকে বলেন, ‘‘আমি যখন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করব, তখন আপনি অবশ্যই উপস্থিত থাকবেন।’’ আমি বুঝছিলাম না, কেন তিনি আমাকে চাইছেন, আমার উপস্থিত থাকার কথা বলছেন। তখন তিনি বলেন, ‘‘যদি আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হই। আমি যুক্তরাষ্ট্রের কোনায় কোনায় গ্রামীণ প্রকল্প ছড়িয়ে দেব।’’’

উপস্থিতি ব্যক্তিদের উদ্দেশে এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান বলেন, ‘আপনাদের কি মনে হয়, লোকজন খুশি হয়েছিলেন? পরদিন তাঁকে (বিল) নিয়ে খবর প্রকাশ পায়। বলা হয়, তিনি একজন উন্মাদ। আমেরিকানদের কী করতে হবে, সেটি বলার জন্য তিনি বাংলাদেশ থেকে একজনকে নিয়ে এসেছেন। এটা কীভাবে সম্ভব।’

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘তিনি চেষ্টা ছাড়েননি। তিনি বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেন, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি কখনো এর গুরুত্বের কথা বলা বন্ধ করেননি। কীভাবে অল্প অর্থের সাহায্যে মানুষকে বদলে ফেলা যায় এবং এটি কত গুরুত্বপূর্ণ, সেটি বলা কখনো বন্ধ করেননি তিনি। এটাই ছিল শুরু এবং তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও তা অব্যাহত ছিল।’

 

 

 

What are Adsterra’s earning tricks?

 


Adsterra is a popular ad network known for its wide range of monetization methods for publishers. If you're looking to maximize your earnings on Adsterra, here are some "earning tricks" or best practices:

1. Choose the Right Ad Formats

Adsterra offers various ad formats, including:

  • Pop-under ads: High-paying but might affect user experience. Best for adult content or less sensitive niches.
  • Native ads: Blend well with content and improve user engagement without affecting UX negatively.
  • Interstitial ads: High-visibility, but use them sparingly to avoid annoying users.
  • Direct links: These allow earning even without hosting ads on the website.
  • Banner ads: Standard, but not as high-earning as other formats.

Tip: Test multiple ad formats to see what works best for your audience.

2. Optimize Ad Placement

Placing ads strategically can significantly boost your revenue:

  • Pop-unders or interstitials usually perform better on high-traffic, media-heavy websites.
  • Native ads or banners work best when integrated into the content flow.
  • Ensure ads are placed where they are likely to get clicks but don’t overwhelm your users.

3. Focus on GEOs (Countries)

Advertisers on Adsterra pay different rates depending on the geographic location of your traffic. Traffic from Tier 1 countries (like the U.S., U.K., Canada, Australia, etc.) generally pays more than Tier 2 or 3 countries.

Tip: If possible, target high-paying countries in your niche.

4. Increase Traffic

The more traffic your site gets, the higher your revenue potential. Focus on SEO, social media marketing, and content creation to boost traffic organically. Remember, Adsterra pays on a CPM (cost-per-thousand-impressions) basis for certain ad formats, so the more page views, the better.

5. Leverage Mobile Traffic

Adsterra excels with mobile ad formats, such as pop-unders and interstitials. Mobile traffic can often lead to better engagement with certain ad formats like native or in-app ads.

Tip: If you have a mobile-responsive site or an app, focus on attracting mobile users for higher engagement.

6. Try CPA Offers

In addition to traditional ads, Adsterra has CPA (cost-per-action) offers, where you earn money when users complete a certain action (like signing up for a service or making a purchase).

Tip: If your site has an engaged audience, promoting CPA offers might give better returns than simple CPM or CPC ads.

7. Experiment with Ad Frequency

Some publishers flood their site with ads, but that can backfire by causing ad fatigue among users. Balance ad frequency and test different thresholds to avoid overwhelming your audience.

8. Optimize for User Experience

While maximizing ad earnings is important, a poor user experience can lead to high bounce rates and less engagement, which could reduce your traffic and income in the long term.

9. Use Anti-Adblock Solutions

Adsterra offers Anti-Adblock technology, allowing your ads to bypass ad blockers. Enable this feature to ensure that you're not losing potential ad revenue to ad blockers.

10. Monitor and Analyze Performance

Continuously monitor your ad performance in the Adsterra dashboard. Adjust ad placements, formats, and traffic sources based on what brings the best results.

 

Click 

What was the last submachine gun used by the US Military?

 


 

The US Army has finished arming soldiers with 315 9×19-millimeter APC9K submachine guns referred to as sub-compact weapons.

The delivery and fielding of the new weapon system are part of a $2.5 million agreement between the US Army and Swiss gunmaker B&T in 2019.

Although the service can exercise an option to procure as many as 1,000 APC9Ks under the contract, the US Army opted to purchase only 315 units.

According to reports, the purchase quantity is limited because the weapons are only intended for special international operations.

The first APC9K submachine guns were distributed to security branch personnel in 2019.

To continue

শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি প্রকাশ্যে এলেন, নানা আলোচনা


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কমিটি আছে এবং সেই কমিটির সভাপতি সাদিক কায়েম—সেটা অবশেষে প্রকাশ্যে এল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে গতকাল শনিবার মতবিনিময় সভায় যোগ দেওয়ার পর গণমাধ্যমে নিজের পরিচয় প্রকাশ করে বক্তব্য দেন সাদিক। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া আসে।

কেউ কেউ সাদিকের সঙ্গে পরিচয় থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় না জানা ও বুঝতে না পারা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। কেউ কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের প্রকাশ্য রাজনীতি নিয়ে উদ্বেগ জানান।

 

কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে প্রশাসনের মিথস্ক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্ম পরিবেশ পরিষদে ১৯৯০ সালে শিবির ও জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে না দেওয়ার বিষয়ে মতৈক্য হয়েছিল।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন হয়। তাদের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে দলটির ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণ করত। ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে শিবিরকে কোনো কার্যক্রম চালাতে দেয়নি। শিবির সন্দেহে তারা অনেককে মারধর ও হল ছাড়তে বাধ্য করেছে। অবশ্য সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত জুলাইয়ে ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাস ছাড়া করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে শনিবার আলোচনার প্রথম পর্বে অংশ নেন শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক। এই পর্বে ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ও বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের নেতারা।

 

মতবিনিময় সভায় শিবিরের পক্ষ থেকে উপাচার্যের কাছে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পরিবর্তে সংস্কার ও অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দাবি করা হয়।

সভা শেষে সাদিক প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা কোনো প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্ত নয়। তাঁরা সব ছাত্রসংগঠনকে নিয়ে সংলাপের আয়োজন করতে বলেছেন, যেখানে ফ্যাসিবাদের দোসর ছাড়া সব ছাত্রসংগঠন আসবে। শিবির মেধাভিত্তিক রাজনীতি চায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকে প্রত্যেকের রাজনৈতিক চর্চা করবে, সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, কারও ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া হবে না, সেটাই আমাদের চাওয়া।’

ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪–দলীয় জোটভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্রসংগঠনকে ফ্যাসিবাদের দোসর উল্লেখ করে সাদিক বলেন, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।

সাদিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তাঁর স্নাতকোত্তর শেষ। তিনি থাকতেন মাস্টারদা সূর্য সেন হলে। গত জানুয়ারিতে শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হওয়ার আগে তিনি সংগঠনের সূর্য সেন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

সাদিকের সঙ্গে শনিবার মতবিনিময় সভায় শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আরেক নেতা রেজাউল ইসলাম অংশ নেন। তবে রেজাউলের ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি। সাদিক ও রেজাউল ছাড়া শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্য নেতাদের কারও পরিচয় এখনো সামনে আসেনি।

কমিটির বিষয়ে সাদিক আজ রোববার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের কমিটি খুব দ্রুত প্রকাশ করা হবে। বিগত সাড়ে ১৫ বছর ফ্যাসিবাদী সরকার তাঁদের আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিকস (গোপনে রাজনীতি) করতে বাধ্য করেছে।

ছাত্রলীগ বিতাড়িত হওয়ার পর এখন শিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্ন ব্যানারে রাজনীতি করছে এবং হলগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে—কারও কারও এমন বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাদিক বলেন, শিবিরের সমর্থকদের বেশির ভাগ হলের বাইরে থাকেন। কিছু নিয়মিত শিক্ষার্থী হলে থাকতে পারেন। গোপনে শিবির সব নিয়ন্ত্রণ করছে, এটা ঠিক নয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবারের সভাটি পরিবেশ পরিষদের ব্যানারে ডাকা হয়নি। শিবিরের দুজন নেতা সভাটিতে অংশ নেওয়ার পর এ নিয়ে উপাচার্যের সামনে প্রশ্ন তোলেন কয়েকটি বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের নেতারা।

ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ শনিবারের মতবিনিময় সভায় উপাচার্যকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি কীভাবে তাঁকে (শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি) খুঁজে পেলেন?’

উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান তাঁর এই প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন মাঈন আহমেদ। মাঈন ছাড়াও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টসহ (বাসদ) কয়েকটি বাম ছাত্রসংগঠনের নেতারা সভায় শিবিরের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

১৯৯০ সালে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদে জাতীয় ছাত্রসমাজ ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়, তখন সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের অন্যতম নেতা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন। তিনি আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, স্বৈরাচারের সহযোগী হওয়ায় জাতীয় ছাত্রসমাজ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে সব ছাত্রসংগঠনের মধ্যে তখন ঐকমত্য হয়েছিল। সিদ্ধান্তটি ছিল, এই দুই সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবে না৷

খায়রুল কবির আরও বলেন, ‘শিবির ও ছাত্রসমাজের বিষয়ে এখনকার ছাত্রসংগঠনগুলো কী আচরণ করবে, সে ব্যাপারে আমরা এখনকার ছাত্রসমাজের ওপরই আস্থা রাখতে চাই। আমরা দলীয় বা সাংগঠনিকভাবে এ বিষয়ে কিছু বলছি না৷’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ কলেজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সাড়ে তিন দশকে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও বাম ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে শিবিরের সংঘর্ষ হয়েছে। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। এরপর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিচার করা হয়। কারও কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

বিগত সাড়ে ১৫ বছরে বিভিন্ন সময় বিএনপি ও জামায়াত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন করেছে। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর বিএনপি জামায়াতের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে। গত ৩০ আগস্ট দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে তাঁদের জোট অনেক আগেই অকার্যকর হয়ে গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এখন প্রভাব আছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের। ছাত্রদলের সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে। বাম ছাত্রসংগঠনগুলোও সক্রিয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অবস্থান হলো, তারা ক্যাম্পাসে কোনো দলের ছাত্রসংগঠনের রাজনীতি চায় না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের প্রকাশ্য রাজনীতি নিয়ে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের আপত্তি আছে। তবে নেতারা এখনই প্রকাশ্যে এ নিয়ে কথা বলতে রাজি নন।

ছাত্রদলের শীর্ষস্থানীয় একজন নেতা আজ নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরকে প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে তাদের অবস্থান প্রকাশ করতে হবে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলো এবং অন্যান্য অংশীজন মিলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

 

 

 

Ads by